টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ- টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলা ইতি মধ্যেই শত ভাগ বিদ্যুৎতায়ন হিসাবে ঘোষনা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,কিন্তু ভুয়াপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়ন ও অর্জুনা ইউনিয়ন দুইটি বিদ্যুৎতায়নের আওতাধীন ছিলনা,কারণ এই দুটি ইউনিয়ন সম্পুর্ন যমুনা নদীর মুল চ্যানেলে অবস্থিত বর্ষার মৌসুমে নৌকা দিয়ে চলাচল আর বর্ষার পরে পায়ে হেটে অথবা মোটরসাইকেল যোগে চলাচল করতে হয়। কিন্তু আসার বানী শোনাচ্ছেন পল্লি বিদ্যুৎতায়ন,প্রায় দুবছর ধরে চর অঞ্চল গুলোতে পল্লী বিদ্যুৎ খুঁটি ও তার টানার কাজ শুরু করেন প্রায় ৮০% কাজ শেষ করছেন,বিদ্যুৎ ষ্টেশনের কাজ ও শুরু করছে,নদীর মাঝ দিয়ে অনেক মোটা মোটা তাঁর ইতি মধ্যেই পার করছেন বলে চরের অনেক লোক প্রতিবেদকের কাছে বলেন,সরেজমিনে চর চন্দনী নিকলা পাড়া হাটে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যুৎতের খুঁটির সাথে তাঁর লাগানো হয়েছে, মিটার লাগানোর কাজও নাকি অচিরেই শুরু করবেন, ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ মো.মকবুল হোসেন বলেন যমুনা চরে কারেন্ট আসবে এটা কোন দিন ভাবতে পারি নাই, হয়ত মৃত্যুর আগে কারেন্ট এর আলো বাড়ীতে জ্বালায়ি দেখে যেতে পারব, ৮০ বছরের আরেক বৃদ্ধা মো.রমজান মুন্সি বলেন, যমুনা নদীর মাঝ দিয়ে পায়ে হেটে হেটে জীবনটা কাটিয়ে দিলাম, কারেন্টের খুটি দেখে অবাক হয়ে গেছি এই নদীর মাঝ দিয়ে কিভাবে কারেন্ট আসবে এটা কোন দিন কল্পনা করতে পারি নাই,তবে কারেন্ট আসলে আমাদের চরের লোকের ভাগ্য পরির্তন হবে,চর চন্দনী নিকলা পাড়া হাটের মুদির দোকানদার মো.আমান আলী বলেন আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ যদি তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় তাহলে ব্যবসা বানিজ্যের জন্য আরো সুবিধা তৈরি হবে। তবে পল্লি বিদ্যুৎকে অনেকেই ধন্যবাদ জানান,দ্রুত সময়ে যদি সংযোগটা আমরা পেতাম তাহলে অনেক ভালো হতো।