নয়নাভিরাম গাইন ( নয়ন) কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত না হানলেও তার বায়ুর আধিক্যের কারন এবং পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে উচ্চতায় পানি বৃদ্ধির কারণে কলাপাড়ায় ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবারের ৫ থেকে ৬ শত মানুষ পানি বন্দি হয়েপরেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামে। বর্তমানে এই পরিবারগুলো বসত ঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে)বেলা এগারোটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পাখিমাড়ার কুমিরমাড়া বাধের সাথে সংযুক্ত কুমিরমাড়া এবং পূর্ব সোনাতলা দুই গ্রামের মাঝখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরীবাধের বাহিরে এই পরিবার গুলো বসবাস করত। এদের জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে সুরক্ষা এবং চলাচলের জন্য নির্মিত ৮৩০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২০ ফুট প্রস্থের রিং বেরীটি জলোচ্ছ্বাস এর কারনে তলিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করে পাঁচ থেকে ছয় শত মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। বর্তমানে তারা বেরীবাধের ভিতরে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ছেন। পানিতে ক্ষতি গ্রস্থ জামাল গাজী বলেন (২৫ মে) মঙ্গলবার প্রথমবার জোয়ারের পানি ঢোকে, হ্যারপর (তারপর) থেক ২ দিনে চাইর বার পানিতে তলাইয়া এহন মোরা মারাত্বক অসুবিধার মধ্যে জীবন কাডাইতে আছি। শারিরীক প্রতিবন্ধী ইউসুফ মিনা বলেন পানি দেইক্কা মোর কইলজা গেছে উইলডা(উল্টে) কােন রহমে আইয়া রাস্তায় উটছি। তিন দিন পর্যন্ত বাড়ি যাইতে পারিনা। ইউসুফ এবং জামালের মত অনেকেই তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন রিংবেরীটি দির্ঘ বছরেও সংস্কার না হওয়ার কারনে তাদের এই দূরাবস্থার মধ্যে পরতে হয়েছে। তাই বর্তমানে পানি বন্দি ভুক্তভোগীরা সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষ এবং সরকারের কাছে বাধটি উচু করে নির্মাণ করে দিয়ে তাদের জীবন মান উন্নয়ন সহ জলোচ্ছ্বাস এর হাত থেক স্থায়ীভাবে রক্ষা করবে এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্ত ভোগী সকলের।
বাধ নির্মাণ এবং সংস্কারের বিষয় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এড ভোকেট নাসির মাহমুদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে। বন্যাপরবর্তী সরকারী বরাদ্দ হলে বাধটিকে নির্মান করে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে জরুরী ত্রান সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন।