শফিকুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
পুলিশ বাড়িয়েছে সেবার হাত-
ইটভাঙা সত্তোর বছরের অসহায় বৃদ্ধার কষ্ট নিপাত যাক”
বিধবা মরিয়ম বেগম সত্তোর বছরের অসহায় বৃদ্ধা। তারপরও ক্ষুধার তড়নায় কাজের সন্ধানে ‘কঠোর লকডাউনেও’ ঘর থেকে বেরোচ্ছেন এবং ইটভাঙার কাজ করে জীবিকা নির্বাহের কাজ করছেন।
বয়সের ভাড়ে ইটভাঙার কাজটিও তেমনভাবে করতে না পারলেও, এ কাজ করে যে টাকা রোজগার করছেন তা দিয়ে কোনোভাবে দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন তিনি। আর তার এমন কষ্টের জীবনের কথা জানতে পেরে খোদ গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন বৃদ্ধার পাশে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।এরইমাঝে তাকে কিছু আর্থিক সহায়তা করেছেন, পাশাপাশি অসহায় ওই বৃদ্ধের পাশে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আর ওই বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলার একটি ছবিও এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ওসি মোঃ আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করতে তার থানা এলাকায় নিয়মিত কাজের তদারকিতে বের হন তিনি। এসময় গৌরনদী উপজেলার বার্থী এলাকার প্রধান সড়কের পাশে মরিয়ম নামে ওই বৃদ্ধাকে ইটভাঙতে দেখেন।
তখন তার কাছে এগিয়ে যান এবং লকডাউনের মধ্যেও ঘর থেকে বের হয়ে ইটভাঙার কাজটি করার কারণ জানতে চান।
এসময় ওই বৃদ্ধা জানান, তিনি উপজেলার বাউরগাতি গ্রামের বাসিন্দা, স্বামী হালান সরদার মারা গেছেন অনেক আগে। বিয়ে হয়ে যাওয়ায় মেয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে থাকছেন বিধায় বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। আর তার ভরণপোষন দেওয়ার মতো কেউ না থাকায় নিজেকেই কাজ করে উপার্জন করে খেতে হয়। এজন্য ইটভাঙার কাজটি করছেন। আর এ কাজ করে দিনে যে ৩০-৪০ টাকা উপার্জন হয়, তা দিয়ে কোনোভাবে জীবনধারণ করছেন।
ওসি আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের আরো বলেন, ওই বৃদ্ধার কথাগুলো শোনার পর খুব খারাপ লাগছিলো, সঙ্গে সঙ্গে তাকে মাস্কসহ নিজের বেতনের টাকা দিয়ে কিছু আর্থিক সহায়তা করি। যা দিয়ে হয়তো ৮-১০ দিন কাটবে তার। কিন্তু বাকি দিনগুলো একটু ভালোভাবে কাটাতে সাহায্যের প্রয়োজন ওই বৃদ্ধার।