কুয়াকাটাজাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কুয়াকাটা- কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি /- করোনা নামক মহামারি পাল্টে দিয়েছে বিশ্বের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষের জীবনেও এ ব্যাধি চাপিয়ে দিয়েছে নানা শৃঙ্খল। মানুষের খাদ্যাভ্যাস, চলাচল, আনুষ্ঠানিকতা, বিনোদন থেকে শুরু করে সব কিছুতেই অস্বস্তি সৃষ্টি করে চলেছে করোনা। বাধা সৃষ্টি করেছে ভ্রমণপিপাসুদের যাত্রায়। যাঁরা প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করেন, দীর্ঘ লকডাউন তাঁদের যেন বন্দি করে দিয়েছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতির অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। হয়তো অনেকেই পরিকল্পনা করছেন করোনা-পরবর্তী ভ্রমণের। আপনার সেই ভ্রমণ পরিকল্পনায় থাকুক কুয়াকাটা। কারণ দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকায় পর্যটকহীন প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। সৈকত কুয়াকাটার রূপ যেন আপনার জন্যই অপেক্ষা করছে।কুয়াকাটার সকল সৌন্দর্যের স্থান গুলোর সাথে , কুয়াকাটায় যুক্ত হয়েছে গভীর সমুদ্র উপভোগ করার নতুন এক মাত্রা , কুয়াকাটার সৌন্দর্যের স্পটগুলোর পাশাপাশি সমুদ্রের দক্ষিণা হাওয়া, এবং সমুদ্রের ঢেউ, সূর্য অস্ত্র উপভোগ করার একটি সুন্দর স্থান তৈরি হয়েছে , কুয়াকাটার চৌরাস্তা পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে কিছুক্ষণ চলতেই , দু চোখে ভেসে আসবে বেরিবাঁধ রক্ষা জন্য ব্লক দিয়ে সাজানো , একদিকে বেরিবাঁধ রক্ষা পেয়েছে অন্যদিকে সমুদ্র সৈকত উপভোগ করার এবং বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দেওয়ার স্থান হয়েছে৷ মহামারী করোনাভাইরাসরে আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে লকডাউন দেওয়া হয়েছে, এই লকডাউনের মধ্যে বিকাল বেলা স্থানীয়দের আনাগোনায় মুখরিত থাকে এই স্থানটি , বিকাল থেকে শুরু করে আনুমানিক রাত ১১ টা কি ১২টা পর্যন্ত স্থানীয়দের আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকে ব্লক পয়েন্ট। এখন পর্যন্ত লেম্বুর বন থেকে, হোটেল সাগর কন্যা পর্যন্ত মোটামুটি কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে৷এরমধ্যে স্থানীয়দের মাঝে সৌন্দর্যের ব্লক পয়েন্ট নামে অনেকে কাছে সাড়া ফেলে দিয়েছে৷ স্থানীয়রা সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে দলে দলে সমুদ্রের আবহাওয়া এবং ঢেউয়ের শো শো শব্দ, সূর্য অস্ত উপভোগ করতে সৌন্দর্যের ব্লক পয়েন্টে বসে পড়ে ৷এসময় সরেজমিন ঘুরে দেখা গিয়েছে এখনো কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে অতি তাড়াতাড়ি যদি কাজ সম্পন্ন হয় বিশ্বের কাছে সুন্দর্যের ব্লক পয়েন্ট পরিচিতি লাভ করবে ৷এ সময় স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক হোসাইন আমির বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটা, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটক শূন্য রয়েছে, এরইমধ্যে নানারূপে রূপবতী হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ৷ কথার জবাব সৌন্দর্যের ব্লক পয়েন্ট নিয়ে বলেন, দেশের অবস্থান স্বাভাবিক হলে, পর্যটন শিল্প খুলে দিলে পর্যটকে আনন্দ উল্লাসে সব সময় মুখরিত থাকবে কুয়াকাটা এই সৌন্দর্যের ব্লক পয়েন্ট৷হোটেল পাঁচতারা রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোঃ সেন্টু বলেন,আমরা প্রতিদিন এই ব্লক পয়েন্টে এসে বসি আমার ধারণা যদি মহামারী করোনাভাইরাস এর অভিশাপের সময় চলে যায় এবং খুলে দেওয়া হয় কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র তাহলেই পর্যটকেরা আনন্দ-উল্লাসের আনন্দিত থাকবে এই ব্লক পয়েন্ট ৷ একই সাথে কুয়াকাটা শুভ সংঘ ক্লাবের , সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেছার উদ্দিন আশিক বলেন,আমরা প্রতি সপ্তাহে দুইদিন ব্লক পয়েন্টে গান-বাজনা করি এবং ব্লক পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য মানুষদের সচেতন করি ৷কুয়াকাটা পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, মোঃ মনির শরিফ বলেন, কুয়াকাটার এই সৌন্দর্যের ব্লক পয়েন্ট আমার ওয়ার্ডে রয়েছে, আমি সবসময় ব্লক পয়েন্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার কাজ করছি ব্লক দেওয়ার কারণে কুয়াকাটা সৌন্দর্য বেড়ে গেছে, বেড়ে গেছে আনন্দ উৎসবে জায়গা ৷ মনির শরিফ আরো বলেন, আমার ৩নং ওয়ার্ডের যতটুকু কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে, অতি তাড়াতাড়ি সেই কাজ করার আহ্বান , কারণ অতি তাড়াতাড়ি যদি বেরিবাধ রক্ষার জন্য কাজ না করা হয়, তাহলে হারিয়ে যাবে এই সৌন্দর্য, সমুদ্র গর্ভে বিলীন হবে এই কুয়াকাটার মানচিত্র ৷ দ্রুত এই সৌন্দর্য রাখার জন্য অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত সমাপ্ত করার অনুরোধ জানায় ৷