মুজাহিদ হোসেন ,জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ১০-১৫ দিন আগেও ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। মরিচের পাশাপাশি দাম বেড়েছে অন্যান্য সবজিরও।
বৃহস্পতিবার (৫আগষ্ট) আহসানগঞ্জ হাটের পাইকারিবাজারের মরিচ বিক্রি করতে আসা কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রাবণ মাসের শুরু থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে উপজেলার অনেক এলাকার সবজি খেত নষ্ট নহয়ে গেছে।
এ ছাড়া অনেক সবজি খেতের মাটি স্যাঁতসেঁতে হয়ে যাওয়ায় মরিচসহ বিভিন্ন সবজি গাছের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় মরিচ, কাকরোল, ঢ্যাঁড়সসহ বিভিন্ন সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে মরিচসহ অনেক ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।
আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজারের ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০-১২ দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন বিক্রেতারা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম চাইছেন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।
আকাশচুম্বী দাম শুনে বিব্রতায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। মরিচের পাশাপাশি দাম বেড়েছেঅন্যান্য সবজিরও। ১০-১২ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স, বেগুন, কাকরোলসহ বিভিন্ন সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
উপজেলার সাহেবগঞ্জ কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী মো. রহীম সরদার ও স্টেশন বাজারের মো.আনোয়ার জানান, গুঁড়ি গুঁড়িবৃষ্টির কারণে নিচু এলাকার সবজি খেত গুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে মরিচ যে দাম ছিল বর্তমানে সেই মরিচ প্রায় তিন গুণ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ মরিচের সরবরাহ অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন বাজারে যেখানে ১৫ থেকে ২০ মণ মরিচের আমদানি হতো, এখন সেখানে ৫ থেকে ৭ মণ মরিচের আমদানি হচ্ছে। শুধু মরিচ নয় অনেক সবজির সরবরাহ কমে গেছে।আর লকডাউনের কারণে দুরের এলাকা থেকে কোন কাঁচা সবজি না আসায় আর দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে একজন ক্রেতা আগে যেখানে আধা কেজিমরিচ কিনতো এখন সেখানে ২৫০ গ্রাম করে মরিচ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।এ অবস্থায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলার আহসানগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, বর্ষার কারণে গাছ নষ্ট হইছে বলে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে,আর লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতো এখনো তৈরি হয়নি যে বাজারে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা হিসেবে সরবরাহ ঠিক আছে। তারপরেও ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উপজেলার দমদমা গ্রামের ভ্যানগাড়ী চালক,সাজেদুল ইসলাম জানান,দেশে করোনা মহামারি, চলছে লকডাউন,কেউ তেমন বের হচ্ছে না গাড়ী নিয়ে বের হলে প্রশাসনের ভয়, যাত্রী ও তেমন নেই। ইনকাম নেই বললেই চলে আজ কাঁচা মরিচের দাম ১৬০ টাকা কেজি।এমন করে সব জিনিসের দাম যদি বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।