মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা হাটে সরকারী নীতিমালা অমান্য করে ক্রেতা বিক্রেতা কৃষকদের নিকট থেকে অবৈধ্যভাবে টোল আদায় ও ৪৩ কেজিতে মন হিসেবে পটল ,বেগুন, আলু কাঁচামরিজসহ অন্যান্য সবজি ক্রয় করার অভিযোগ তুলেছে বিক্রেতা কৃষক জনতা। এছাড়াও উক্ত হাট বাজারের বিভিন্ন দৃশ্যমান স্থানে জনজ্ঞার্থে টোল আদায়ের রেট তালিকা টাংগানো হয়নি , যা হাটবাজার ইজারা নীতিমালা বহির্ভুত এবং ইজারা বাতিলযোগ্য বলেও ক্রেতা বিক্রেতাসহ শতাধিক জনতা জানান। ২০ আগষ্ট শুক্রবার কোলা হাটে সরেজমিনে গিয়ে চকতাহের গ্রামের মৃত আলীমুদ্দিনের ছেলে এজুল ৭ হাজার ৪শ টাকা দিয়ে একটি ছাগল ক্রয় করে টোল আদায়কারীর নিকট ছাপা বা রশিদ নিতে গেলে তার নিকট থেকে ৩শত টাকা টোল নিয়ে ৩০৮ নং রশিদে ক্রেতা বিক্রেতার নাম ঠিকানা ও ছাগলের মুল্য লিখে টোল আদায়ের পরিমান না লিখে তাকে রশিদ প্রদান করে বর্র্তমান ইজারাদার এনামুল হক কর্তৃক নিয়োজিত টোল আদায়কারীরা।
অপর দিকে মোঃ হান্নান পিতা মৃত নরুল ইসলাম গ্রাম পাচবাড়িয়া নিবাসী ৫৪ হাজার টাকা দিয়ে গরু ক্রয় করে ৫শত টাকা টোল দিয়ে ৮৫২ নং রশিদ গ্রহন করে। উক্ত রশিদে টোল এর পরিমান লেখা হয়নি। শুধু গরুর মৃল্য ৫৪ হাজার টাকা লেখা হয়। উল্লেখিত হান্নান আরও একটি গরু ক্রয় করে ৫৩ হাজার ৫শত টাকায়। ক্রেতা বিক্রেতার নামঠিকানা লিখে ও ৫শত টাকা টোল আদায় করে ৮৫৪ নং একটি রশিদ উক্ত হান্নানকে দেওয়া হয়। তাতেও টোল আদায়ের পরিমাণ লেখা হয়নি মর্মে রশিদ সূত্রে এবং তাদেরসহ অন্যান্য গরু ক্রেতা ও হাটে উপস্থিত কৃষক জনতার ভাষ্য জানা যায়। অথচ ছাগল/ভেড়া/বকরী প্রতি সরকারী টোল রেট ১৫০ টাকা এবং গরু প্রতি ৩ শত টাকা। তরকারী, পটল,বেগুন,মুলা, সিম, লাউ,কপি মহিষের গাড়ী হলে ১৪ টাকা,গরুর গাড়ী হলে ১২ টাকা। অথচ মনপ্রতি ২০ টাকা বিক্রেতার নিকট থেকে ক্রেতারা কেটে রেখে তার পর সবজির মুল্য দিয়ে থাকে এবং ক্রেতার নিকট থেকে মন প্রতি ১০ টাকা করে টোল আদায় করা হলেও টোল আদায় রশিদ দেওয়া হয়না বলে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভাষ্যে জানা গেছে। কৃষক জনতা বলেন প্রতি হাটে পটল, বেগুন আলু সহ অন্যান্য সবজি প্রতি হাটবারে ৪ থেকে ৫ মন পর্যন্ত হাটে কৃষকরা নিয়ে আসেন। অপর দিকে প্রতি শুক্রবার ৫ থেকে ৬ শ গরু বেচা কেনা করা হয়ে থাকে বলে গরু বিক্রেতা ও ক্রেতা সহ জনতার ভাষ্যে জানা যায়। টোল আদায় রশিদ না দেওয়া এবং গরু ছাগল বেচা কিনার টোল আদায় রশিদে টোলের পরিমান না লেখায় সরকার হাজার হাজার টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হলেও সংশ্ষ্টি কর্তৃপকক্ষ রহস্যজনকভাবে নীরব বলেও কৃষক জনতার অভিমতে প্রকাশ। ২৪ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে নতুন টোল রেট আসলে তিনি নিজে হাটে উপস্থিত থেকে টোল রেট টাংগানোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।