আবদুল্লাহ আল মামুন :
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা আক্তার তানিয়া এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাফরোজা সুলতানা।
এসময় উপজেলার কোরাইশমুন্সী বাজারে ৫ ব্যক্তিকে কারেন্ট জাল বিক্রিয় দায়ে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় তাদের দোকান থেকে আনুমানিক ৩০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ও নষ্ট মৎস্য খাদ্য জব্দ করা হয়। ওইসময় ৭২ কেজি মেয়াদোত্তীর্ন ও নষ্ট মৎস্য খাদ্য জব্দ করা হয়। পরে ওই জাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা আক্তার তানিয়া’র নেতৃত্বে উপজেলা বিজয় চত্বরে এনে জনসন্মুখে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযানে খাদ্য ও ঔষুধ দোকানে লাইসেন্স,অতিরিক্ত মূল্য,খাদ্যের গুণগত মান, ঔষুধের উৎপাদন ও মেয়াদ উর্ত্তীর্ণের তারিখ প্রভৃতি তদারকি এবং সচেতন করা হয়। এসময় লাইসেন্স না থাকা ও নবায়ন না করায় ৩টি খাদ্য দোকানকে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ এর আওতায় জরিমানা করা হয় এবং তাদের দ্রুত লাইসেন্স করতে ও নবায়ন করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাফরোজা সুলতানা জানান, দাগনভূঞা মাছ বাজার পরিদর্শনে গেলে মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর জেলি চিংড়িতে না পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন (১৯৫০) অনুসারে ৫ ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিক্রিয় দায়ে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন (২০১০) অনুসারে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নষ্ট মৎস্য খাদ্য সংরক্ষণ ও বিক্রয়, লাইসেন্স না থাকা ও নবায়ন না করার অপরাধে এ জরিমানা করা হয়। তিনি আরও জানান, জনস্বার্থে এধরণের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও ভ্রাম্যমান আদালতের পেশকার মোঃ গিয়াস উদ্দিনসহ মৎস্য দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
