মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরে স্বামীর পরকীয়ার জের ধরে রাগে ক্ষোভে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে স্ত্রী একসঙ্গে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ছেলে সুজন কুমার মন্ডল (২৭) এবং বিকেল তিনটায় মা শেফালী রাণী মন্ডল (৪৮) নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
শেফালী রাণী মন্ডল ও তার ছেলে সুজন কুমার মন্ডল মহাদেবপুর উপজেলার হাসপাতাল মোড় এলাকার বীরেন কুমার মন্ডলের স্ত্রী ও ছেলে। বিকেলে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
বীরেন মন্ডল জানান, দুপুর ১২টায় তার স্ত্রী তাকে ফোন করে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে বলেন। অন্যথায় তিনি বিষ পান করবেন বলে হুমকি দেন। বাসায় ফিরে তার স্ত্রী ও ছেলেকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তারা কীটনাশক খেয়েছে বলে জানান। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে ছেলের মৃত্যু হয়। তার স্ত্রীকে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বীরেন মন্ডল পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন। এর আগে এ বিষয়ে তাকে মোটা অংকের টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে। পরকীয়ার জেরকে কেন্দ্র করে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রায় এক যুগ আগে ছেলে সুজন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হলে তখন থেকে তার মা তাকে তুলে খাওয়াতেন। ধারণা করা হয়েছে যে, তার মা নিজে কীটনাশক খেয়ে ছেলেকেও খাইয়েছে।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।